তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ বিদ্যমান কয়েকটি সমস্যা নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সাথে আলোচনায় বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩৪ হাজার শিক্ষককে সুপারিশপত্র দেয় এনটিআরসিএ। এসব শিক্ষক নিজ নিজ স্কুলে যোগদান করেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর।

ফলে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন বাতিল করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়। এতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েও সাত হাজার শিক্ষকের এমপিও নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। চার মাস ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন।

সূত্র আরও জানায়, এমপিওভুক্তির সমস্যা ছাড়াও বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ, দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রণয়ন, শিক্ষক সংকট দূর করতে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতি এবং ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়টিও সভার আলোচনায় আসতে পারে। এসব বিষয় সমাধানে শিক্ষামন্ত্রীর অনুমতি চাওয়া হতে পারে।

সভা শুরুর আগে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, যাদের আমরা সুপারিশ করেছি তারা যে জটিলতায় পড়েছেন সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে। এছাড়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়টি সহ এনটিআরসিএর বিদ্যমান বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এর আগে নতুন শিক্ষকরা কবে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন সে বিষয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছর সভা করে এর আগ পর্যন্ত এনটিআরসিএ-এর সব সমস্যা নিরসন করেছিলাম। এখন আবার কিছু নতুন ইস্যু এসেছে। আমরা সেগুলো দেখছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের এমপিও নীতিমালায় বয়সের যে কাঠামো দেয়া আছে, সেটার সঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা চাকরি পেয়েছেন, তা মিলছে না। তবে যেহেতু আদালতের নির্দেশনা আছে, আমরা সেই নির্দেশনার মধ্যে তাদের নিয়ে আসব। অনেকের আবার কাগজপত্রেও সমস্যা থাকে। কাজেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে তো দেয়া সম্ভব না। আমরা বিষয়গুলোর সমাধান করব। খুব শিগগিরই এসব বিষয় নিয়ে এনটিআরসিএর সঙ্গে আলোচনায় বসব।